How to make money on Amazon

কিভাবে অ্যামাজন থেকে টাকা আয় করবেন? অ্যামাজনে প্রোডাক্ট সেল করে টাকা আয় করার তিনটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি ও তার সুবিধা-অসুবিধাসমূহ

অ্যামাজন প্রতিদিন গড়ে $১.২৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে (প্রতি সেকেন্ডে $১৪,৯০০, জি ঠিকই পড়েছেন!) যার বেশিরভাগ অংশই আসে থার্ডপার্টি সেলারদের কাছ থেকে। অ্যামাজন এর এই বিশাল ইকমার্স সাম্রাজ্যের ছিটেফোঁটা অংশ হতে পারলেও (অর্থনৈতিকভাবে) লাইফ বনে যাবে সন্দেহ নাই! তাই অনলাইনে ইনকাম এর যত উপায় বা মাধ্যম আছে অ্যামাজন তার মধ্যে অন্যতম বড় একটা জায়গা (অনেকের স্বপ্নের প্ল্যাটফর্মও বলা যায়!)। তবে অ্যামাজন থেকে ইনকাম করা একেবারেই যে সোজা বিষয়টা এমন নয়।

সৌভাগ্যবসতো ২০১৫তে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে আমার পরিচয় হয় আর তখন থেকেই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন না কোনভাবে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় কিছু রিজিক এর ব্যবস্থা হচ্ছে (আলহামদুলিল্লাহ্‌)।

তবে আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নয় বরং অ্যামাজনে প্রোডাক্ট সেল করার বহুল প্রচলিত তিনটি পদ্ধতি নিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রায় বছরখানেক সময় থেকে অ্যামাজনে প্রোডাক্ট বিক্রি করছি আর বর্তমানে আমার কাজের বেশীরভাগ সময় এইটা কেন্দ্র করেই কাটে।

আমি নিজেও প্রতিনিয়ত শিখছি আর কাজের মাধ্যমে আমার প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাগুলোকে এই ব্লগে শেয়ার‍ করার ইচ্ছে আছে যাতে আগ্রহী কেউ অ্যামাজনে প্রোডাক্ট বিক্রি করায় তার নিজের জার্নি কমসেকম শুরু কিভাবে করবে তা শিখতে পারে।

তো চলুন অ্যামাজনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার তিনটি পদ্ধতি এবং এগুলোর সুবিধা, অসুবিধাসহ কিভাবে এগুলো থেকে টাকা আয় করা যায় আর যারা নতুন শুরু করবেন তাদের জন্য কোন পদ্ধতিটা বেশি ভাল/উপযোগী হবে তার একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্‌। আর শেষে আমি নিজে কোন মডেলে (বেশি) কাজ করতেছি সেটাও রিভিল করবো। 😉

অ্যামাজন প্রোডাক্ট সেল করার পদ্ধতিগুলো হল…

  1. (রিটেইল/অনলাইন) আরবিট্রাজ (Arbitrage)
  2. হোলসেল (Wholesale)
  3. প্রাইভেট লেবেল (Private Label)

আরবিট্রাজ (Arbitrage)

রিটেইল/অনলাইন আরবিট্রাজ হল ছাড় বা ডিস্কাউন্টে বিক্রি হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজন-এ সেল করা। এখন মূলত দুইভাবে আরবিট্রাজ হয়।

১. রিটেইল আরবিট্রাজ – যা মুলত ফিজিক্যাল স্টোর থেকে সরাসরি গিয়ে ডিসকাউন্টেড প্রাইসে সেল হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজনে সেল করা।

২. অনলাইন আরবিট্রাজ – যা মূলত অনলাইন বা ইকমার্স সাইটগুলো থেকে স্টক ক্লিয়ারেন্স আইটেম, ডিসকাউন্টেড প্রাইস বা ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজনে সেল করা।

দুইটাই মূলত একই জিনিশ – ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে এমন ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজনে প্রফিটসহ বিক্রি করা, পার্থক্য মুলত প্রোডাক্ট সোরসিং এর ধরনে – প্রথমটা সরাসরি স্টোরে গিয়ে আর দ্বিতীয়টা অনলাইন থেকে কিনে রিসেল করা।

মূলত যে সকল দেশে অ্যামাজন মার্কেটপ্লেস আছে যেমন আমেরিকা, ইউকে, কিংবা কানাডা সে সব দেশের মানুষের জন্য অ্যামাজনে রিটেইল আবিট্রাজ করা সহজ, কারন তারা সহজেই কোন বিগবক্স স্টোরে (যেমন ওয়ালমারট, টার্গেট ইত্যাদি) গিয়ে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে এমন প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজনে রিসেল করতে পারে।

আমরা যারা বাংলাদেশে আছি তাদের জন্য অ্যামাজনে রিটেইল আবরিট্রাজ করার সুযোগ নাই তবে অনলাইন আরবিট্রাজ করার সমান সুযোগ আছে অর্থাৎ একজন চাইলেই এখান থেকে যেকোনো আমেরিকান ইকমার্স সাইট থেকে ডিসকাউন্টেড প্রাইসে প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজন রিসেল করতে পারবে।

* সহজে বোঝার সুবিধার্থে আমি আমাদের দেশী ব্র্যান্ড ও মার্কেটপ্লেস দিয়ে উদাহরণ দেয়ার চেস্টা করব।

রিটেইল অনলাইন আরবিট্রাজ
Image credit: helium10.com

উদাহরণঃ

ধরুন বাটা কিংবা এপেক্স এর জুতা তাদের নিজেদের শোরুমে অথবা কোন দোকান বা সুপারশপে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। এখন ছাড়ে বিক্রি হওয়া জুতাগুলো কিনে আপনি অ্যামাজনে রিসেল করবেন, এইটা রিটেইল আরবিট্রাজ।

আর বাটার জুতা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইট কিংবা কোন ইকমার্স সাইটে ছাড়ে বিক্রি হলে সেখান থেকে জুতাগুলো অর্ডার করে অ্যামাজনে রিসেল করাটা অনলাইন আরবিট্রাজ।

তবে হ্যাঁ কোথাও কোন প্রোডাক্ট ছাড়ে বিক্রি হলেই যে সেইটা কিনে অ্যামাজনে আপনি প্রফিটসহ রিসেল করতে পারবেন ব্যাপারটা এমন নয়। এই জন্য অ্যামাজনে সেই প্রোডাক্ট এর ভাল ডিম্যান্ড, সেলস র‍্যাঙ্ক, প্রাইস হিস্ট্রি ইত্যাদি চেক করে আর অ্যামাজনের রেফারেল ফি, এফবিএ ফি, প্রেপ ফি ইত্যাদি বাদ দিয়ে প্রোডাক্ট এর প্রফিটাব্লিটি নিশ্চিত করে তারপরে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হয়।

উপরে উল্লেখ করা টার্মগুলো বা কিভাবে একটা প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন বুঝতে পারছেন না? আপনি এই বিষয়ে একেবারে নতুন হলে না বুঝায় স্বাভাবিক। উপরের বিষয়গুলো জেনে এবং বুঝে কিভাবে প্রোডাক্ট অর্ডার করবেন তার ধারনা পরবর্তী পোস্ট বা আলাদা আলাদা কয়েকটা পোস্টে দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্‌। এই বিষয়গুলো বুঝলেই এই বিজনেস মডেলে যা যা লাগে তার বেশীরভাগ জানা হয়ে যায়।

যেকোনো বিজনেস মডেলেরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা দুইটা দিকই থাকে আরবিট্রাজও তার ব্যতিক্রম নয়। এই মডেল এর মেইন সুবিধা ও  অসুবিধাগুলো দেখে নেয়া যাক।

সুবিধাঃ

১. শুরু করা সহজ – আরবিট্রাজে মডেলে আপনাকে একেবারে নতুন কোন ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট তৈরি করা লাগে না। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট কিনে সহজেই শুরু করতে পারবেন। সহজে শুরু করা যায় তাই অ্যামাজনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার কলাকৌশলের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য এইটা সবচাইতে ভাল মডেল।

২. অল্প পুঁজি বা ইনভেস্টমেন্ট – অন্য যেকোনো মডেল এর থেকে এইটা অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়। শুরু করার জন্য মাত্র $৫০০ই যথেষ্ট (বা আরও কমেও শুরু করতে পারবেন ধরাবাধা নিয়ম নেই)।

৩. আনলিমিটেম প্রোডাক্ট – দুনিয়াতে প্রোডাক্ট এর ধরনের যেমন শেষ নাই, তেমনই এই মডেলে কত ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন তার কোন সীমাবদ্ধতা নাই। ইচ্ছে মত যেকোন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট কিনে সেল করতে পারবেন, কোন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট কেমন সেল হয় তা টেস্ট করে দেখতে পারবেন।

৪. লো-রিস্ক – ইনভেস্টমেন্ট কম লাগাই অন্য যেকোনো মডেল এর চাইতে লস করার ঝুঁকি কম থাকে।

অসুবিধাঃ

১. সময়ের সীমাবদ্ধতা – আরবিট্রাজ প্রোডাক্ট খোজা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার যার কারনে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আস্তে পারে। প্রায় প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ডিসকাউন্টেড প্রোডাক্ট খুজতে থাকতে হয়।

২. স্কেল্যাব্লিটি – অন্য মডেলে একই প্রোডাক্ট বারবার অর্ডার করে ক্রমাগত বিক্রি করতে থাকা যায়। এই মডেলে কোন প্রোডাক্টএর যতগুলো পিস ছাড়ে পাওয়া যায় কেবল সেগুলোই কেনা ও রিসেল করা যায়। তাছাড়া অনেক ওয়েবসাইটে একসাথে প্রোডাক্ট অর্ডার করার লিমিট দেয়া থাকে তাই ছাড় থাকলেও একসাথে অনেক প্রোডাক্ট কেনা যায় না।

৩. গেটেড – অনেক ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্ট বিক্রির এর উপর রেস্ট্রিকসান দিয়ে রাখে (তাদের অ্যাপ্রোভড সেলার ছাড়া প্রোডাক্ট বিক্রি করতে দেয় না), অ্যামাজনও অনেক ব্র্যান্ড আর ক্যাটাগরিও রেস্ট্রিক্ট করে রাখে। তাই অনেক ব্র্যান্ড এর প্রোডাক্ট ও ক্যাটাগরি বা সাব-ক্যাটাগরিতে প্রোডাক্ট সেল করার জন্য অ্যাপ্রোভাল এর দরকার হয়।

আরবিট্রাজ করে কেমন ইনকাম সম্ভব?

ডিস্কাউন্টে খুচরা প্রোডাক্ট কিনে আবার অন্য আরেক মার্কেটপ্লেসে খুচরা বিক্রি করায় এই মডেলকে সস্তা বা সর্বোচ্চ হয়তো পকেট খরচের টাকাটা উঠতে পারে এমন মনে হতে পারে কিন্তু বিষয়টা আসলে তেমন নয়। অনেক সেলার এই মডেলে বাৎসরিক কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট সেল করে আর মাসিক $১০কে, $২০কে, এমনকি $৫০কে+ (আমেরিকান ডলার) পর্যন্ত ইনকাম করে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মাসিক $৫০০-$১০০০ ডলারও বেশ ভাল ইনকাম, যা অনলাইন আরবিট্রাজ থেকে করা অসম্ভব নয়, (এমনকি নিজে প্রোডাক্ট সেল না করে ক্লাইন্টদের সার্ভিস দিয়েও এই ইনকাম করা সম্ভব)।

আমি উপরে যে ইনকাম এর ফিগার বলেছি তা একটু যাচাই করতে আগ্রহী হলে হাসল বাডিজ নামের ইন্টারন্যাশনাল একটা ফেসবুক গ্রুপে একটু ঘুরে আসতে পারেন (গ্রুপটা মূলত আরবিট্রাজ কেন্দ্রিক)। গ্রুপে জইন করে সেলারদের শেয়ার করা কেস স্টাডিগুলো দেখতে পারেন, আর চাইলে গ্রুপের ডিসকাশন থেকে শিখতে আর প্রশ্নও করতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ আপনি আজকে শুরু করলেই রাতারাতি অনেক টাকা ইনকাম করে ফেলবেন বিষয়টা মোটেও এমন নয়। যারা এই মডেল বা যেকোনো বিজনেস মডেলে ভাল করছে, তাদের প্রায় সবারই (ব্যতিক্রম আছে বলে আমার জানা নাই) দীর্ঘ সময় ধরে কাজে লেগে থাকতে হয়েছে। আবারও বলছি, অনলাইনে কাজ শুরু করার চিন্তা করলাম বা শুরু করলাম আর ইনকাম আসা শুরু হয়ে গেল বিষয়টা মোটেও এমন নয়, হ্যাঁ এখানে অনেক ভাল ইনকাম করা সম্ভব তবে এটা অ্যাচিভ করার জন্য আপনার সময়, শ্রম, দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থাকার মাইন্ডসেট থাকাটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

ডিসক্লেইমার!

হোলসেল (Wholesale)

হোলসেল হল কোন ব্র্যান্ড, ডিস্ট্রিবিউটর, বা হোলসেল সাপ্লাইয়ার এর কাছে বাল্ক অ্যামাউন্টে প্রোডাক্ট কিনে অ্যামাজনে বিক্রি করা।

রিটেইল বা অনলাইন আরবিট্রাজ এর সাথে এর বেসিক পার্থক্য হল, আরবিট্রাজ প্রোডাক্ট আপনি খুচরা অ্যামাউন্টে যখন যে প্রোডাক্ট এর যতগুলো পিস ডিসকাউন্টেড প্রাইসে অ্যাভাইলেবল থাকে ততোগুলোই একসাথে কিনতে পারবেন। হোলসেল এর ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা নাই তবে যে প্রোডাক্ট আপনি সেল করতে চান সরাসরি তার ব্র্যান্ড বা সেই ব্র্যান্ড এর কোন অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর বা হোলসেলারকে খুজে বের করে তার থেকে হোলসেল রেইটে প্রোডাক্ট কেনার জন্য অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে। এর পরে আপনি যতখুসি প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারবেন আর অ্যামাজনে সেল করতে পারবেন।

অ্যামাজন এফবিএ হোলসেল
Image credit: webretailer.com

উদাহরণঃ

আবার বাটার জুতার উদাহরণে ফিরে গেলে হোলসেল এর ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি বাটা থেকে অথবা তাদের কোন অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর বা হোলসেলার এর থেকে হোলসেল রেইটে জুতা কিনে অ্যামাজনে রিটেইল বা খুচরা মূলে জুতা বিক্রি করবেন।

সুবিধাঃ

১. ফাস্ট স্টার্টআপ/রেজাল্ট – আরবিট্রাজ এর মত হোলসেলও খুব দ্রুত শুরু করা যায় এবং এটা থেকেও তুলানমূলক দ্রুত রেজাস্ট আসে (প্রাইভেট লেবেল এর মত নিজের ব্র্যান্ড শুরু করা থেকে প্রোডাক্ট লঞ্চ করার যে প্রক্রিয়া তার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না) ।

২. এক্সিস্টিং কাস্টমার বেইজ/ব্র্যান্ড অ্যায়রনেস – বাজারে প্রচলিত ব্র্যান্ড এর প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে জেহুতু মানুষ অলরেডি জানে তাই মার্কেটে ব্র্যান্ড এর ট্রাস্ট বা পরিচিতি তৈরি করতে অ্যাড এর পিছনে বা মার্কেটিং-এ খরচ করা করার প্রয়োজন হয় না। নামকরা ব্র্যান্ড গুলোর এক্সিস্টিং কাস্টমাররা নিজেরাই প্রোডাক্ট কেনার জন্য খুজে তাই প্রোডাক্ট স্টকে থাকলে বিক্রি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

৩. হাই ডিমান্ড – যেহেতু মার্কেটে অলরেডি আছে এমন কোন ব্র্যান্ড এর প্রোডাক্ট সেল করবেন, হোলসেলে বিক্রির জন্য যে প্রোডাক্ট চুজ করা হয় মার্কেটে সাধারনভাবে তার হাই ডিমান্ড থাকে। আর অলরেডি ডিমান্ড আছে এমন প্রোডাক্ট বিক্রিও তুলনামুলকভাবে বেশ সহজ (নো-ব্রেইনার)।

৪. কনসিস্টেন্ট ইনভেন্টরি – ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে সাধারনত ব্যাপক পরিমান ইনভেন্টরি (প্রোডাক্ট) মজুদ থাকে। তাই কোন প্রোডাক্ট এর স্টক শেষ হয়ে যাওয়া বা বিক্রির জন্য প্রোডাক্ট না পাওয়ার সম্ভবনা নাই বলা যায়।

৫. স্কেল্যাব্লিটি – খুব ভাল সেল হয় এমন কিছু ব্র্যান্ড/প্রোডাক্ট পেয়ে গেলে বার বার সেগুলো অর্ডার করতে থাকা আর সাথে প্রোডাক্ট এর কুয়ান্টিটি বাড়ানো বেশ সহজ। আপনাকে শুধু আপনার ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে প্রোডাক্ট অর্ডার করতে হবে আর বিক্রির জন্য অ্যামাজনের ওয়ারহাউসে পাঠাতে হবে।

অসুবিধাঃ

১. হোলসেল অ্যাকাউন্ট – অনেক ব্র্যান্ড ও ডিস্ট্রিবিউটর অ্যামাজন সেলারদের সাথে কাজ করতে চাইনা। তাই চাইলেই আপনি যেকোনো বড় বড় ব্র্যান্ড বা ডিস্ট্রিবিউটর এর সাথে হোলসেল অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারবেন না বা তাদের থেকে না শুনতে হতে পারে।

২. লাইসেন্সিং – হোলসেল (আমেরিকায়) শুরু করতে আপনাকে যেকোনো একটা স্টেইট-এ এলএলসি (কম্পানি) খুলতে হবে, আর সেই স্টেইট থেকে রিসেল সার্টিফিকেট, ইআইএন/ট্যাক্স আইডি নিতে হবে। বিজনেস শুরু করার আগেই এগুলো ম্যানেজ করতে হবে আর এর জন্য বেশ কিছু ইনভেস্টমেন্ট লাগবে।

৩. ইনভেন্টরি কুয়ান্টিটি – হোলসেলে বাল্ক অ্যামাউন্টে প্রোডাক্ট অর্ডার করতে হয় আর অনেক ডিস্ট্রিবিউটরের প্রোডাক্ট অর্ডার করার যে মিনিমাম একটা প্রাইস/কুয়ান্টিটি থাকে তা মেইন্টেইন করা যারা কম ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে শুরু করবে তাদের জন্য কঠিন হতে পারে।

৪. কম্পিটিশন – অন্য হোলসেলারদেরও একই ব্র্যান্ড/প্রোডাক্ট সেল করার সুযোগ থাকে যার কারনে মার্কেটে বেশ কম্পিটিশন থাকতে/তৈরি হতে পারে।

প্রাইভেট লেবেল (Privet Label)

প্রাইভেট লেবেল হল থার্ডপার্টি কোন মানুফ্যাকচারের এর থেকে প্রোডাক্ট তৈরি করে নিয়ে আপনার নিজের ব্র্যান্ড বা লেবেল দিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করা। অর্থাৎ প্রাইভেট লেবেলে মূলত আপনার নিজের দেয়া ব্র্যান্ড নামে থার্ডপার্টি মানুফ্যাকচারের থেকে প্রোডাক্ট তৈরি করে নিয়ে বিক্রি করবেন।

Image credit: liveabout.com

উদাহরণঃ

আবারও জুতার উদাহরণ দিলে, প্রাইভেট লেভেলের ক্ষেত্রে আপনি বাজারে আছে এমন কোন ব্র্যান্ড নয় বরং আপনি নিজে একটা ব্র্যান্ড নাম ঠিক করে জুতা তৈরি করে এমন কোন মানুফ্যাকচার বা কারখানা সাথে যোগাযোগ করে আপনার নিজের ব্র্যান্ড নাম, লোগো, প্যাকেজিং ইত্যাদি ইউজ করে জুতা তৈরি করে নিয়ে তারপরে সেটা অ্যামাজনে সেল করবেন।

এই রকম মানুফ্যাকচারিং এর জন্য চাইনা বিশ্বব্যাপি খুব প্রসিদ্ধ। আমাদের দেশের অনেক নাম করা ব্র্যান্ডও চাইনা থেকে এইভাবে নিজেদের ব্র্যান্ড নামটা ব্যবহার করে প্রোডাক্ট তৈরি করে নিয়ে আসে। যায়হক, আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন তার মানুফ্যাকচারার বাংলাদেশে (কিংবা ভারত, পাকিস্তান, বা অন্য কোন দেশ) থাকলে আর সহজলভ্য হলে আপনি এখান থেকেও প্রোডাক্ট তৈরি করে অ্যামাজনে বিক্রি করতে পারবেন।

সুবিধাঃ

১. কন্ট্রোল – আপনি আপনার নিজের ইচ্ছেমত প্রোডাক্ট এর ডিজাইন, প্যাকেজিং, দাম, ইত্যাদি নির্ধারণ করতে পারবেন। আপনার নিজের ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট তাই প্রোডাক্ট তৈরি করা, প্রোডাক্ট লিস্টিং পেইজ সাজানো, দাম নির্ধারণ ইত্যাদি করার আলটিমেট কন্ট্রোল আপনার হাতেই থাকে।

২. হাই-প্রফিট মার্জিন – সাধারণত কমদামে প্রোডাক্ট সোর্স করে বেশি প্রফিট মার্জিনসহ বিক্রি করা যায়। বিশেষ করে আনসেচুরেটেড নিসে প্রোডাক্ট সেল করতে পারলে আর প্রোডাক্ট ও ব্র্যান্ড এর কোয়ালিটিতে নতুনত্ব ও ভাল মান নিয়ে আসতে পারলে প্রফিট মার্জিন সাধারণত অনেক বেশি (৩৫%+) রাখা যায়/হয়।

৩. লংটার্ম অ্যাসেট – কোন প্রোডাক্ট হিট হলে লম্বা সময় ধরে/যতদিন সে প্রোডাক্ট এর ডিম্যান্ড থাকে ততদিন ঐ প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করতে থাকা যায়। 

৪. ব্র্যান্ড বিক্রি করে প্রফিট – আপনার একটা সাকসেসফুল ব্র্যান্ড তৈরি হয়ে গেলে, আপনি চাইলে সে ব্র্যান্ডকে (মান্থলি প্রফিট এর ৩০, ৪০, বা আরও বেশি গুনে) এককালিন বেশ বড় একটা অ্যামাউন্টে বিক্রি করতে পারবেন।

অসুবিধাঃ

১. হাই স্টার্টআপ কস্ট – আপনি আপনার নিজের একটা ব্র্যান্ড তৈরি করবেন, তাই প্রোডাক্ট সোর্সিং, ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং, শিপমেন্ট, প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি, লিস্টিং তৈরি, ট্রেডমার্ক/ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রি, পিপিসি অ্যাড, ইত্যাদির জন্য বড় একটা অ্যামাউন্টের খরচ আপনার প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে লাগবে। 

২. হাই রিস্ক – প্রোডাক্টে ইনভেস্ট করা ও মার্কেটে লঞ্চ করার আগে প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড সাকেসেসফুল হবে কিনা তা ১০০% নিশ্চিত হওয়ার উপাই নাই। যেহেতু প্রোডাক্ট লঞ্চ এর আপফ্রন্ট খরচ বেশি লাগে আর ম্যানুফ্যাকচার এর থেকে টেস্ট করার জন্য অল্প পরিমানে প্রোডাক্ট নেয়ারও সুযোগ থাকেনা, তাই রিস্ক একটু বেশি থাকে।

৩. সময় সাপেক্ষ – নিস ও প্রোডাক্ট রিসার্চ থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট তৈরি করা, অ্যামাজন ওয়ারহাউসে প্রোডাক্ট পাঠান, প্রোডাক্ট রিভিউ জেনারেট করা, অরগানিক রাঙ্কিং থেকে কোনসিস্টেন্ট বিক্রিসহ প্রফিট আসার যে পুরো প্রক্রিয়া এটাতে আরবিট্রাজ ও হোলসেল মডেলের তুলনাই অনেক বেশি সময় লাগে (মিনিমাম ছয় মাস থেকে এক/দেড় বছর)।

আরবিট্রাজ, হোলসেল, আর প্রাইভেট লেবেল ছাড়াও অ্যামাজনে আরেকটা মডেলেও অনেকেই কাজ করে, যার নাম ড্রপশিপিং।

ড্রপশিপিং

ড্রপশিপিং হল মূলত কোন প্রোডাক্ট নিজে কিনে স্টক না করেই কাস্টমার এর কাছে প্রোডাক্ট সেল করা আর কোন কাস্টমার প্রোডাক্ট অর্ডার করলে সরাসরি সাপ্লাইয়ার এর কাছ থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করে কাস্টমার এর কাছে পৌঁছে দেয়া।

ড্রপশিপিংও অ্যামাজনে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট সেল করার অন্যতম মাধ্যম আর বাংলাদেশসহ আমাদের উপমহাদেশে এটা বেশ পপুলার মূলত ইনভেন্টরিতে তেমন আপফ্রন্ট কস্ট না লাগায় আর তুলনামূলক সস্তা, লো-স্কিল্ড ম্যানপাওয়ার ইউজ করে সহজে স্কেল করার সুবিধা থাকাই (আর সম্ভবত অ্যামাজন থেকে বাংলাদেশে এই মডেলেই সব চাইতে বেশি রেভেনিউ আসে)। তবে আমি ব্যক্তিগতভবে ড্রপশিপিং করি না বা কাউকে করতে রিকমেন্ডও করি না।

এর কারন হল…

১. অ্যামাজন অফিসিয়ালি ড্রপশিপিং আলাউ করে কিন্তু ড্রপশিপিং নিয়ে তাদের যে পলিসি এইটা মেইন্টেইন করে ড্রপশিপিং করা বেশ কঠিন। যেমন অ্যামাজন অন্য কোন রিটেইলার থেকে থেকে প্রোডাক্ট ড্রপসিপ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করে, আর নিষেধ করে প্রোডাক্ট ডেলিভারি এর সময় আপনার নিজের প্যাকিং স্লিপ, ইনভইস, প্যাকেজিং ছাড়া অন্যকারটা ইউজ না করতে।

কিন্তু বেশিরভাগ ড্রপশিপাররাই অ্যামাজন এর ডাইরেক্ট রিটেইল কম্পিটিটর যেমন ওয়ালমারট, হোমডিপো এই ধরনের স্টোর গুলো থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করে কাস্টমার এর কাছে পাঠাই। বুঝতেই পারছেন অ্যামাজনে প্রোডাক্ট অর্ডার করে তার কোন কম্পিটিটর এর প্যাকিং স্লিপ, ইনভইস, প্যাকেজিং, লোগো ইত্যাদি দিয়ে কাস্টমার এর কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছালে অ্যামাজন ব্যাপারটাকে কিভাবে নিবে, এটা নিঃসন্দেহে তাদের বিশাল ব্র্যান্ড এর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, অনেক কাস্টমারও ব্যাপারটা সহজভাবে নিবে না। আর ফলত আগে হোক বা পরে এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলো ব্যানড হওয়ার ঝুকিতে থাকে।

২. আমার ড্রপশিপিং না করার সবচেয়ে বড় কারন হল এই মডেলটা শরীয়ত সম্মত নয় কারন শরিয়ত যে জিনিস আপনার নিজের না বা নিজের মালিকানায় নেয়ার সুযোগ নাই তা বিক্রি করার অনুমোদন আপনাকে দেয় না। পিরিয়ড!

তবে “Bai-salam contract”, “Ju’ala contract” সহ সিমিলার কিছু ইসলামী ফাইনান্সিয়াল কন্ট্রাক্ট আছে যা একজন সেলার আর সাপ্লাইয়ার এর মধ্যে থাকলে ড্রপসিপিং পারমিসিবল হতে পারে। আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে খুব ডিপ ধারনা রাখে এমন একজন প্রাজ্ঞ ইসলামিক স্কলার এর সাথে পারমিসিবল হতে পারে এমন ড্রপশিপিং মডেল নিয়ে কিছুদিন আগে আমাদের একটা কনসালটেন্সি সেশন ছিল। উনাদের (কয়েকজন প্রাজ্ঞ মুফতি সাহেবের) টিম এই বিজনেস মডেল নিয়ে আলোচনা করেছেন আর উনাদের পক্ষ থেকে একজনকে ফারদার রিসার্চ এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উনাদের থেকে আমরা এখনও ফাইনাল ডিসিশন পাইনি, যদি পাই তাহলে পরবর্তীতে আপডেট জানাব ইনশাআল্লাহ্‌।

ড্রপশিপিং বিজনেস মডেল নিয়ে শরীয়াহ পর্যালোচনার আপডেট।

IFA Consultancy ওয়েবসাইটঃ https://ifacbd.com/
ফেসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/IFACBD

তো অ্যামাজনে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কোন মেথডটা বেশি ভাল/উপযোগী?

এটার আসলে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর নাই আর এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার পার্সোনাল প্রিফারেন্স এর উপর। আপনার নিজের অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনাকে কোনো একটা মডেল সিলেক্ট করতে হবে।

অ্যামাজনে যদি আপনার একেবারেই অভিজ্ঞতা না থাকে আর ‘তুলনামূলকভাবে দ্রুত’ প্রোডাক্ট লঞ্চ করা ও টাকা আয় করার কথা চিন্তা করেন তাহলে আরবিট্রাজ অথবা হোলসেল আপনার জন্য সুইটেবল হবে। এই দুই মডেলই শেখা ও কাজ শুরু করা তুলনামূলকভাবে সহজ আর অনেক বেশি আপফ্রন্ট ইনভেস্টমেন্ট লাগেনা।

পক্ষান্তরে, আপনি যদি নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান আর ইনভেস্ট করার মত ক্যাপিটাল থাকে তাহলে প্রাইভেট লেবেল আপনার জন্য ভাল মডেল হতে পারে।

তবে আপনাকে যে শুধুমাত্র যেকোনো একটা মডেলেই কাজ করতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। চাইলে আপনি আরবিট্রাজ, হোলসেল, আর প্রাইভেট লেবেল নিয়ে একইসাথে কাজ করতে পারেন। প্রথমে আরবিট্রাজ বা হোলসেল দিয়ে শুরু করে সেখান থেকে প্রাপ্ত প্রফিট থেকে পরবর্তীতে নিজের প্রাইভেট লেবেল ব্র্যান্ড জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন।

বর্তমানে আমি নিজে মূলত হোলসেল মডেলে কাজ করছি। টুকটাক কিছু আরবিট্রাজও করেছি। আগেই আলোচনা করেছি যে হোলসেল আর আরবিট্রাজের মুল পার্থক্য হল সোর্সিং মেথডে এছাড়া প্রোডাক্ট সিলেকশন এর ক্রাইটেরিয়াগুলো প্রায় একই।

আরবিট্রাজ এর জন্য প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার আর প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রোডাক্ট খুঁজতে থাকতে হয়, তাছাড়া আইপি কমপ্লেইন্ট/ব্র্যান্ড রেস্ট্রিসন ফেস করার রিস্ক থাকে। পক্ষান্তরে হোলসেলে অ্যামাজন সেলারদের জন্য বড় ব্র্যান্ড বা ডিসট্রিবিউটর এর থেকে অ্যাপ্রোভাল পাওয়া একটু কঠিন তবে একবার ভাল কিছু সাপ্লাইয়ার পেয়ে গেলে তাদের থেকে একই প্রোডাক্ট বারংবার রিঅর্ডার করে বিক্রি করতে থাকা যায় আর এইটাকে স্কেল (ব্যবসাকে বড়) করা তুলনামূলক সহজ।

তবে আপনি যে পদ্ধতিই বেঁছে নেন না কেন, আপনাকে পর্যাপ্ত রিসার্চ করে মার্কেট সম্পর্কে ভাল ধারনা নিয়ে এবং হুটহাট শুরু না করে আগে ভালোভাবে শিখে নিয়ে শুরু করলে আশা করা যায় ফলাফল ভাল হবে।

ওয়াটস নেক্সট!

অ্যামাজন হোলসেল নিয়ে আমার ধারাবাহিক কিছু টিউটোরিয়াল/গাইডলাইন শেয়ার করার ইচ্ছে আছে যাতে করে অ্যামাজনে নিজের বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং/ক্লাইন্ট সার্ভিসে আগ্রহী এমন কেউ এখান থেকে শুরু করতে পারেন। হোলসেল ছাড়াও আরবিট্রাজ নিয়েও টুকটাক শেয়ার করার ইচ্ছে। আর পরবর্তীতে নিজেদের প্রাইভেট লেবেল ব্র্যান্ড শুরু করলে সেটা নিয়েও কেস স্টাডি শেয়ার করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ্‌।

যদি কোন কমেন্ট বা প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন, আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

Similar Posts

8 Comments

  1. Alhamdulillah Bhai. আমি কি ভাবে শুরু করতে পারি। আরও এমাজান থেকে কিভাবে প্রডাক্ট কিনা যাবে বাংলাদেশ থেকে।

    1. শুরু করার জন্য এই বিষয়ে কিছু পড়াশোনা করতে হবে ভাই। অ্যামাজন একটা বিজনেস দাড় করানো বা প্রোডাক্ট সেল করার ওভারঅল বিষয়টা জেনে-বুঝে শুরু করলে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ্‌। অ্যামাজন এফবিএ হোলসেল নিয়ে আমার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন শেয়ার করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ্‌, এগুলো থেকে শুরু করার ব্যাপারে ধারনাপাবেন বলে আশাকরি।

      আর বাংলাদেশ থেকে অ্যামাজনে সরাসরি সব প্রোডাক্ট কেনা যায় না। যেসকল সেলাররা ইন্টারন্যাশনালি প্রোডাক্ট শিপ/সেল করে তাদের থেকে অর্ডার করা যায় তবে শিপিং কস্ট অনেক বেশি হবে। কিছু থার্ডপার্টি সার্ভিস আছে যাদের মাধ্যমে প্রোডাক্ট অর্ডার করে অ্যামাজন ইউএসএ থেকে নিয়ে আসা যায় (এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না), গুগল করলে হয়তো পাবেন বা দরকার হলে জানাইয়েন আমি খুঁজে দিবো ইনশাআল্লাহ্‌।

  2. আসসালামু আলাইকুম ভাই কেমন আছেন।
    অনেক দিন ধরেই শুরু করতে চাচ্ছি কিন্তু কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। আশা করি আপনার সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে একটা রাস্তা বেরিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। মার্কেটিং পলিছিটা একটু আলোচনা করলে ভালো হয়। বিশেষ করে সোশাল মার্কেটিং এবং পেইড না কি আনপেইড।
    ধন্যবাদ ভাই

    1. ওয়া আলাইকুমুসসালাম ভাই। আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভাল আছি। যেমনটা পোস্টে বলেছি অ্যামাজন এফবিএ হোলসেল নিয়ে আমার স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডলাইন শেয়ার করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ্‌। আশাকরি এইখান থেকেই শুরু করার মত ম্যাটেরিয়াল পাবেন ইনশাআল্লাহ্‌। আর অ্যামাজন এফবিএ হোলসেল মডেলে মার্কেট ভাল ডিমান্ড আছে এমন প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয় তাই অ্যাড এর পিছনে তেমন খরচ নাই বলা যায়। এখানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা অ্যাড এর তেমন দরকার নাই। অ্যাড এর ক্ষেত্রে বড়জর অ্যামাজন এর নেটিভ পিপিসি ক্যাম্পেইং চালাতে পারেন, এর বাইরে আর কোন পেইড অ্যাড এর দরকার হবে না। আপনার কমেন্ট এর জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

  3. পুরোটা পড়ে শেষ করলাম। সাথে জুড়ে দেওয়া অডিওটার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ। হালাল পথে আয় করা অর্থ যাতে হারাম পথে ইনভেস্টমেন্ট হয়ে না যায় এজন্য সবসমই এক্সট্রা একটু চিন্তা থাকে। পরবর্তি আর্টিকেলগুলাও পড়ে ফেলবো একে একে। পড়েছিলাম যে সেটার একটা নোট রেখে গেলাম আপাতত।

    1. আর্টিকেলটা পড়ার জন্য ও সময় নিয়ে কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই! 🙂

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *